২০১০ সালে লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন মৌসুমী হামিদ। পাশের বাড়ির মেয়ের মতো চেহারা বলে নাটকে বেশ আলোচনায় আসেন তিনি। তাঁর সময়ের চ্যাম্পিয়ন তারকা রাখি বিদেশে লেখাপড়া করতে গেলে মৌসুমী ফাঁকা মাঠে গোল করতে নেমে পড়েন বড়পর্দায়। প্রথমে অনিমেষ আইচের ‘না মানুষ’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। তবে ছবিটি অজানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি করেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘জালালের গল্প’। বাজেট কম হলেও ভালো নির্মাণ আর মোশাররফ করিমের দুর্দান্ত অভিনয়ে ছবিটি আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলে।
গত মাসে ফ্রান্স থেকে ছবির অভিনেতা মোশাররফ করিম সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেলেও মৌসুমীর অভিনয় নিয়ে অনেকেই নাক সিটকিয়েছেন। তাই মৌসুমী অভিনয়নির্ভর কাজ রেখে নাম লেখান বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে। গত শুক্রবার তাঁর প্রথম বাণিজ্যিক ছবি ‘ব্ল্যাকমানি’ মুক্তি পেয়েছে। এ ছবি নিয়ে তাই মৌসুমীর প্রত্যাশার পারদ ছিল অনেক উপরে। নিজেকে বাণিজ্যিক প্রমাণ করতে ছবির শুটিং ও প্রচার-প্রচারণায় অযথাই তিনি খোলামেলা পোশাকে হাজির হয়েছেন, যা মিডিয়া সংশ্লিষ্ট অনেকেই সমালোচনা করেছেন।
তবে মৌসুমী অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকের রায়ের দিকে। খবর নিয়ে জানা গেছে ছবিটির নির্মাণ, গান সবমিলিয়ে ছবিটি বেশ ভালোই চলছে। কিন্তু এবারও জ্বলে উঠতে পারলেন না তিনি। ছবির অন্যান্য অভিনয়শিল্পী সাইমন, কেয়া চরিত্রানুযায়ী মানানসই হলেও মৌসুমীর অভিনয় ও পর্দা উপস্থিতিতে হতাশ দর্শক। খোলামেলাভাবেই পর্দায় নিজেকে উপস্থাপন করেছেন এই সুন্দরী।
কিন্তু তার অভিনয় এবং খোলামেলাকে দর্শক ভালোভাবে নেয়নি। তবে তিনিও দমে যাওয়ার পাত্রী নন। সামনের ছবিগুলোর জন্য আবারও অপেক্ষা করছেন মৌসুমী। তাঁর বিশ্বাস সামনের ছবিগুলো দিয়ে তিনি দর্শকের মন ঠিকই জয় করে নেবেন। তবে এজন্য তাঁর আচার-ব্যবহার, অভিনয়-নাট, ফ্যাশন সবকিছুতেই আমূল পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, সামনেই মুক্তি পাবে মৌসুমী হামিদের আরেকটি ছবি অনন্য মামুনের ‘ব্ল্যাকমেইল’।
- Blogger Comment
- Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment